মোস্তফা কামাল, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের কেশবপুর শহরের আস্থা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সমিতির অনিয়মের তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশ করায় কেশবপুর ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রজন্মের ভাবনা পত্রিকার কেশবপুর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আস্থা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সমিতির সহকারি পরিচালক মকবুল হোসেন যশোর আদালতে সাংবাদিককে হয়রানি করার লক্ষে মামলাটি করেন।
রোববার (০৮ আগস্ট) সকালে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে কেশবপুর ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের হাসপাতাল মোড়স্থ রুমী ফার্মেসীর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সভায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় উল্লেখিত সমিতির অনিয়ম ও দূর্নীতির ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ কেশবপুর প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ায় ১৬ জুলাই কেশবপুর প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভায় ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। যার ফলে কেশবপুর প্রেসক্লাবের এ সংক্রান্ত সকল কর্মকান্ডে ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা একাত্ততা প্রকাশ করেন।
প্রতিবাদ সভায় কেশবপুর ফটোর্জালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম কবির হোসেন সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সোহেল পারভেজ, সদস্য দেবব্রত ঘোষ, আক্তার হোসেন, মুফতি তাহেরুজ্জামান তাসু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আস্থা পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্য সাধন সাহা সমিতির বিরুদ্ধে গত ২৮-০৪-২০২১ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক প্রজন্মের ভাবনা পত্রিকায় কেশবপুর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনটি গত ০৬ মে দৈনিক প্রজন্মের ভাবনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন ও আস্থা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহার বক্তব্য ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা সমবায় অফিসার নূর ইসলাম তদন্ত করেন। প্রকাশিত সংবাদের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ মে আস্থা সমিতির পক্ষ থেকে যশোর আদালতে প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।